মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেনকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবি পৌরসভাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে তাকে রেস্টুরেন্টে বসে টাকা গুনতে দেখা গেছে। আর এই টাকা ঘুষের টাকা বলে দাবি করছেন নেটিজেনরা। এসব ছবি ঘিরে জনমহলে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা চলছে।
এদিকে, পৌরসভার একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পৌর প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে দাবি করেছে—প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল নড়াচড়া করেন না। এমনকি নিয়ম অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হলেও বিভিন্ন অজুহাতে ঠিকাদারদের হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ করে তারা। অভিযোগকারীরা তার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ছবিগুলো ভিত্তিহীন, এগুলো এআই-জেনারেটেড হতে পারে বা ব্যক্তিগত-পারিবারিক লেনদেনের কোনো মুহূর্ত। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো সত্য নয়।'
মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের মাঝেও চলছে ব্যাপক আলোচনা।
