মৌলভীবাজারে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল

আর্থিক সংকটে থাকা অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদল। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জেলার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীর ফর্ম ফিলাপ, ভর্তি ফি এবং বইপত্র কেনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তবে সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত রাখবে ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই সহযোগিতা কার্যক্রম চালু হয়। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও তার সহধর্মিনী রেজিনা নাসের।

কলেজের ক্লাসরুমে বেজে উঠল ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’, এলাকায় তোলপাড়

বিস্তারিত পড়ুন

এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান এবং মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমেদ। এমনটি জানিয়েছেন কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ।

প্রথম দিনে সহযোগিতা প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা কলেজ, কাশিনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ এবং আজাদ বখত স্কুল এন্ড কলেজ।

কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জানান, অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও সচেতনতার উদ্দেশ্যে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদল কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে একটি প্রচারপত্র বিতরণ করেছে। এতে তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে আর্থিক সংকটের কারণে তাদের পড়ালেখা বন্ধ না হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনাও জানানো হয়েছে।

আর্থিক সহায়তা পেয়ে উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘এমন মহতী উদ্যোগের কারণে আমাদের বন্ধ হওয়ার উপক্রম পড়া পড়ালেখা সচল রাখতে পেরেছি।’

কোটি টাকার ড্রেনও ব্যর্থ, প্রকৌশলীদের ভুলে পানিবন্দি লালপুরবাসী

বিস্তারিত পড়ুন

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমেদ বলেন, ‘এই কার্যক্রমের প্রথম দিনে আমরা ২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। আগামী রোববারও আরও কয়েকজনকে সহযোগিতা করব। আপাতত এই চারটি কলেজ ক্যাম্পাসে আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম সচল রেখেছি। এর পরিধি আরও বাড়াতে চাই। আমরা অনেকটা নীরবে শিক্ষার্থীদের হাতে এই উপহার পৌঁছে দিচ্ছি। কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে প্রচারণা চালিয়েছি ও চালাচ্ছি যে, অসচ্ছল শিক্ষার্থী যারা পড়াশোনায় ইচ্ছুক কিন্তু আর্থিক সংকটে পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম, তাদের আমরা সহযোগিতা করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের যে পরিমাণ সহায়তা প্রয়োজন আমরা চেষ্টা করছি, তাদের সেই অনুযায়ী সহযোগিতা করতে।’