মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুর থেকে কাটাখালি সড়কে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে আবারও সংস্কারকাজ শুরু করেছে পৌরসভা। এর আগেও এই সড়কে ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল।
কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় অল্প সময়েই সড়কটি আবার ভেঙে যায়। এবার একই সড়কে আবার ২০ লাখ টাকার টেন্ডার নিয়ে নতুন করে সংস্কার কাজ চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগের সংস্কারকাজে ঠিকমতো খোয়া ফেলা হয়নি, পিচও ঢালাই হয়নি ঠিকভাবে। এমনকি যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে, তা মানুষের পায়ের আঘাতেই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। এতে করে জনগণের কষ্ট যেমন বাড়ছে, তেমনি অপচয় হচ্ছে সরকারি অর্থ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে পৌরসভার ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ‘মেসার্স মাজেদ ট্রেডার্স’ নামের প্রতিষ্ঠানকে তিন মাস মেয়াদে কাজ দেওয়া হয়। কাজের আওতায় দশতলা ভবনের সামনের রাস্তা, সুপারমার্কেট, রেড ক্রিসেন্ট ভবন, জেলা পরিষদ, থানা সড়ক হয়ে পতাকা একাত্তর ভাস্কর্য পর্যন্ত রাস্তার সংস্কারের কথা ছিল। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব স্থানের অনেক জায়গায় কাজই হয়নি। যা হয়েছে, সেটাও মানহীন।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘টেন্ডারে যেসব জায়গা ছিল, আমরা ঠিকঠাক কাজ করেছি। বরং বাড়তি কিছু জায়গায় কাজ করেছি, যার বিল এখনও পাইনি। পৌরসভা আমাদের কাজ বুঝে নিয়েই বিল দিয়েছে।’
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মৌসুমী মাহবুব বলেন, ‘বর্তমানে ২০ লাখ টাকার নতুন টেন্ডারের কাজ চলছে। স্থায়ী সংস্কারের জন্য বড় একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে, শিগগিরই অনুমোদন হবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরও জানান, হাসপাতাল থেকে সুপারমার্কেট পর্যন্ত একটি পুরোনো তিতাস গ্যাস লাইনে লিকেজ থাকায় স্থায়ীভাবে কাজ করা যায়নি। বিষয়টি তিতাসকে জানানো হয়েছে, তারা টেন্ডারও শেষ করেছে। লাইন সরানোর পর পুরো রাস্তায় স্থায়ী সংস্কার শুরু করা হবে।
এদিকে একই সড়কে বারবার কাজ হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, কাজের মান ঠিক থাকলে দুই মাসের মাথায় রাস্তা ভেঙে পড়ার কথা নয়। সঠিক তদারকি আর জবাবদিহিতা না থাকায় জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।