ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ময়মনসিংহে ১১ এমপিসহ আ.লীগের শীর্ষ নেতারা আত্নগোপনে

ফারুক আহমেদ, ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ জোট সরকারের পতনের পর ময়মনসিংহে ১১ এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আত্নগোপনে রয়েছেন।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলায় ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৩টি উপজেলা, ১৪টি থানা, ১০টি পৌরসভা, ১৪৭টি ইউনিয়ন ও ১১টি সংসদীয় আসন রয়েছে। আত্নগোপনে থাকা জেলার এগারো সাবেক এমপি হলেন-ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৩ অ্যাডভোকেট নিলুফার আনঞ্জুম পপি, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ মো. নজরুল ইসলাম,
ময়মনসিংহ-৬ মো. আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ এ বি এম আনিছুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ। জেলার ১৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১০টি পৌরসভার মেয়র ও ১৪৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী। যে কারণে হামলা মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে তারা আত্নগোপনে চলে গেছেন। জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এমপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়রগণকে ক্ষমতাচ্যুত করা দলের নেতারা নিজেদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন। বাড়িতে খোঁজ-খবর নিয়েও কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। হামলা ও
অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এমপি ও সরকারদলীয় নেতাদের বাড়িতে। এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাদ যায়নি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও। জেলার এগারটি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের সঙ্গে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সবার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চলমান এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে। 

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পদধারী জনপ্রতিনিধিরাও ভয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহে অনেকটা কঠোরভাবে পালন করে ছাত্র-জনতা। এ আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো জেলা। এতে আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের মৃত্যু ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা এমপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বক্তব্য নেওয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আওয়ামা লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বেশিরভাগেরই মুঠোফোন বন্ধ ও কোথাও খোঁজখবর না পাওয়া যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, এমপি বা জেলার শীর্ষ নেতারা কে কোথায় আছেন কেউ জানি না। কারও সঙ্গে যোগাযোগও নেই। শুধু জেলার নেতারাই নন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলেও সেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। ময়মনসিংহেবৈষম বিরোধী ছাত্রনেতা সাগর হত্যার রহস্য চাপা পড়ে যাচ্ছে। তবে সাগর হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।