ময়মনসিংহের তারাকান্দা, পূর্বধলা ও গৌরীপুর উপজেলার মানুষের অন্যতম প্রধান যাতায়াত রুট তারাকান্দা-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়কের চংনাপাড়া ও রায়জান বাজার এলাকার মাঝামাঝি নির্মাণাধীন একটি সেতুর বিকল্প ডাইভারশনটি ভারী বর্ষণে ধসে পড়ায়, তিন উপজেলার হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চংনাপাড়া বাজারের পাশে একটি নতুন সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে। মূল সেতুর কাজ চলমান থাকায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প একটি ডাইভারশন সড়ক তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে সেই ডাইভারশনটি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। ফলে ঈদের আগমুহূর্তে ঘরমুখো মানুষ ও প্রতিদিনের যাত্রীরা পড়েছেন সীমাহীন দুর্দশায়।
প্রতিদিন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে অভিযোগ করে বহেড়াকান্দি গালাগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমরা পূর্বধলা ও গৌরীপুরসহ আশপাশের সাত-আটটি উপজেলার সঙ্গে যাতায়াত করি। এখন সড়কটি সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না হলে সাধারণ মানুষের চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, হাজীগঞ্জ, আশ্বিয়া, অনন্তপুর, ভেরুয়া, হরিয়াতলা, হারিভাঙ্গা, রাজধারিকেল, কামারগাঁও, ওয়াই ও গোবিন্দখিলা এলাকার মানুষ এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই দুর্ভোগ আরও করুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতি বছর একই ঘটনা পুনারাবৃত্তি ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। নির্মাণকাজের ধীরগতি ও অস্থায়ী ডাইভারশন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়মিত ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার পাশাপাশি অবিলম্বে বিকল্প রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসাইন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি সেতু পরিদর্শন করতে এসেছি। আগামীকালের মধ্যে ইন্জিনিয়ার ও ঠিকাদারকে আসতে বলা হয়েছে। অটু ও সি এন জি চলাচলের জন্য দ্রুত সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’