সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (পুরুষ), ময়মনসিংহের প্রধান সহকারী শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামানের বদলীর আদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিস এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষা অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অবরুদ্ধ হয়ে বিপাকে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো: শিক্ষার্থীদের হুমকিদাতা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব বদরুল হাসান লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অসৎ বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সদ্য যোগদানকৃত প্রধান সহকারী হিসেবে দুর্নীতিবাজ আজহারুল ইসলামকে অন্যত্র সরানো।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রধান সহকারী শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামানকে বদলী করা হয়েছে। তার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করছি। হঠাৎ করে তার বদলী মেনে নেওয়া যায় না। তাই সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবন এবং জেলা শিক্ষা অফিসে তালা দিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে। দ্রুত বদলীর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।’
অনার্স ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আবিদ আইমান ও আলিফ আহমেদ মনির বলেন, ‘বদলী বাণিজ্য একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সেটি ভাঙতে চাই। একজন ভালো কর্মচারী তার কর্মক্ষেত্রে সততার উদাহরণ সৃষ্টি করে, এটি দোষের কিছু নয়। তাকে বদলী করে একজন দুর্নীতিবাজকে পদে বসানো আমরা মেনে নেব না। আজ আমরা বিভিন্ন দপ্তরে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছি; আদেশ প্রত্যাহার না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব এবং আমাদের পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক অধ্যক্ষ এ.কে.এম. আলিফ উল্লাহ আহসান বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা অবরুদ্ধ। শিক্ষার্থীরা তালা দিয়েছে। বদলী ও প্রত্যাহার মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে।’
সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (পুরুষ), ময়মনসিংহের অধ্যক্ষ ড. মো. জয়নুল আবেদীন খান বলেন, ‘বদলীর বিষয়ে আমার কোন হাত নেই। আমারও যেকোনো সময় বদলী হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা প্রধান সহকারী শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামানের বদলীর আদেশ ঠেকাতে আন্দোলন করছে; বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত কী হবে, তা কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারে।’
গত ১৪ আগস্ট প্রধান সহকারী শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামানকে গৌরীপুর সরকারি কলেজে হিসাবরক্ষক হিসেবে বদলী করা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন