*** মাউশি মহাপরিচালক বলেছেন, ‘আপাতত ১৩ শিক্ষকের সংযুক্তি বাতিল করে তাদের নিজ নিজ স্কুলে পাঠানো হবে। পরবর্তী সময়ে বিধি অনুযায়ী ফাইল উঠিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে’
দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৭৬২ জন শিক্ষকের সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের (অ্যানুয়াল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট- এসিআর) নম্বর সংবলিত বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হয়েছে। ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের তালিকা’ শিরোনামে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও শিক্ষকদের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে এসিআরের পিডিএফ লিংক প্রকাশ হয়েছে। ফাঁস হওয়া এসিআরের এই পিডিএফ রূপালী বাংলাদেশের হাতে রয়েছে। শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার জন্য এই এসিআর প্রস্তুত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এসিআর তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমেই এটি ফাঁস হয়েছে। এটি তৈরির সঙ্গে জড়িতরা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে, এমনটি বোঝাতে যোগাযোগের জন্য এটি ফাঁস হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে টাইম স্কেল প্রদান নিয়ে কয়েক শিক্ষকের কথোপকথনের একটি স্ক্রিন শটও রূপালী বাংলাদেশের হাতে রয়েছে। সেখানে টাকার বিনিময়ে টাইমস্কেল পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের আলাপের বিষয় জানা গেছে।
সূত্রের দাবি, এসিআর ফাঁস হওয়াসহ টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়া নিয়ে এসব তৎপরতার বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর তথা শিক্ষা ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনা চললেও অজানা কারণে দীর্ঘদিন কোনো তৎপরতা ছিল না মাউশির। তবে গত ১১ আগস্ট মাউশির মাধ্যমিক ১ শাখা থেকে এসিআর তৈরির সঙ্গে জড়িত শিক্ষা ভবনে মাধ্যমিক শাখায় সংযুক্ত ১৩ জন শিক্ষককে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টির ব্যাখ্যা করে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ জন শিক্ষকের সবাই ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট শাখায় নোটিশের উত্তর জমা দিয়েছেন। মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক-১-এর কর্মকর্তারা বলেছেন, নোটিশের উত্তর দেখে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে গত বুধবার এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ১৩ শিক্ষকের সংযুক্তি বাতিল করে তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসিআর প্রতিবেদনের নিচে সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিষয়টির সঙ্গে তার যোগসাজশের গুঞ্জন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে শিক্ষকদের মধ্যে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আব্দুস সালাম। এ ছাড়া এসিআর তৈরির সঙ্গে জড়িত ৪ শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছে রূপালী বাংলাদেশ। তারা প্রত্যেকেই বিষয়টিতে নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া নোটিশের উত্তরে তারা এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সামনে চলে এসেছে। প্রথমত, শিক্ষকদের রুটি-রুজির সঙ্গে জড়িত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিবেদনের গোপনীয়তা বজায় রাখতে মাউশি ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এসিআরকে ঘিরে অবৈধ আয়ের জন্য তৎপরতাও চলছে। তৃতীয়ত, এমন ঘটনা আগেও ঘটে থাকতে পারে। তাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই শিক্ষক নেতা।
এসিআর ফাঁস ৭৬২ সিনিয়র শিক্ষকের:
সাধারণত চাকরিকালীন নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডিপিসি (ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটি) সভা করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষকদের কর্মদক্ষতাসহ নানা তথ্য দিয়ে বছরভিত্তিক এসিআর তৈরির কাজ করে মাউশি। মাউশির এসিআর শাখায় জনবল স্বল্পতার কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষককে মাউশিতে সংযুক্ত করে এসিআরের কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও জানা গেছে, নানা জটিলতায় ২০১২ সাল থেকে এসব শিক্ষকের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ঝুলে ছিল। এতে ১২০০ শিক্ষক টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চেয়ে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দিলে সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তিন মাস আগে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের রায়ে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে ভেবে প্রায় এক বছর আগে থেকেই শিক্ষকদের এসিআর তৈরির কাজ শুরু হয়।
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার নির্দেশ আসায় আগে মামলা করা ১২০০ শিক্ষকের পাশাপাশি ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক এটি প্রাপ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।
‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের তালিকা’ শিরোনামে ফাঁস হওয়া এসিআর থেকে দেখা গেছে, সেখানে শিক্ষকের পিডিএস আইডি, মূল পদ, বর্তমান কর্মস্থল, চাকরিতে যোগ দেওয়ার তারিখ, বেতন স্কেল ও বেতন গ্রেড, চাকরির ৪ বছর পূর্তিতে সিলেকশন গ্রেডের বিবরণ, ৮ বছর পূর্তিতে প্রথম টাইম স্কেলের বিবরণ, ১২ বছর পূর্তিতে দ্বিতীয় টাইম স্কেলের বিবরণ, চাকরি স্থায়ীকরণের তথ্য, ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত নম্বর ও মন্তব্যসহ বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ও মামলাসংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর বিষয়টি নজরে আসায় মাউশির মাধ্যমিক-১ শাখার সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী গত ১১ আগস্ট এসিআর শাখায় সংযুক্ত ১৩ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের নম্বর সংবলিত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন গ্রহণ, টাইমস্কেল ও উচ্চতর গ্রেডের জন্য প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন সরকারি মাধ্যমিক শাখায় সংযুক্ত কর্মকর্তারা। কাজেই বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের নম্বর সংবলিত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার দায়-দায়িত্বপ্রাপ্ত সংযুক্ত কর্মকর্তারা এড়াতে পারেন না।’ সংগত কারণে কেন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে। সূত্রের দাবি, মাউশি মহাপরিচালক এ-সংক্রান্ত নথি আগে স্বাক্ষর করলেও মাধ্যমিক শাখা থেকে দেরিতে উঠানো হয়।
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নিয়ে আর্থিক তৎপরতা :
এদিকে টাকার বিনিময়ে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কতিপয় শিক্ষকের কথোপকথনের স্ক্রিন শট থেকে জানা গেছে, রাজশাহীর একটি স্কুলের এক শিক্ষক (সংগত কারণে স্কুলের নাম ও শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হলো না) লিখেছেন, ‘আমাদের স্কুল থেকে টাকা নিয়েছে ৬০০০ টাকা করে।’ ময়মনসিংহ অঞ্চলের একজন শিক্ষক লিখেছেন, ‘৫০০০ টাকা নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে টাইম স্কেলের জন্য। আপনারা দিছেন স্যার। ময়মনসিংহ অঞ্চলে টাকা নিচ্ছে।’ এই শিক্ষক আবার আরেক শিক্ষককে লিখেছেন, ‘আপনারা যদি দিয়ে থাকেন আমাদের জানান।’ আরেক শিক্ষক লিখেছেন, ‘জ¦ালানি তেল ছাড়া ইঞ্জিন চলে না।’
এসিআর তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বক্তব্য:
এসিআর তৈরির সঙ্গে জড়িত ১৩ শিক্ষকের মধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে রূপালী বাংলাদেশ। সূত্রের দাবি অনুযায়ীÑ এই ৪ জনের মধ্যে সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম এসিআর প্রতিবেদনের নিচে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ বিষয়ে কথা হয় আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবাই বলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে, কিন্তু আমি কোথাও দেখিনি।’ কিন্তু প্রতিবেদক যখন জানান যে, তার কাছে এসিআরের পিডিএফটি আছে, সংগত কারণেই আরও অনেক পেয়েছেন বলে ধরা যায় কি নাÑ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে যেহেতু আছে, তাহলে তো ঠিকই। তবে বিষয়টি কে বা কারা করেছে, কীভাবে করেছে আমি জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছরের কোরবানি ঈদের আগে আমার মোবাইল হ্যাক হয়েছিল, মোবাইলে থাকা ৬ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছিল। এ সময় কোনো ডকুমেন্টও মিসিং হয়েছে কি না বলতে পারব না।’ প্রতিবেদনের নিচে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসিআরের ডোসিয়ার অংশে যিনি কাজ করেন, তার নাম রাখতে হয়। আমি কাজটি করেছি, তাই নাম লিখেছি।’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নোটিশের জবাবে তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে জানান এই শিক্ষক।
গাজীপুর রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সংযুক্ত শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কীভাবে ফাঁস হয়েছে জানি না। আমি শিক্ষক সংগঠন করি। দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য আমরা অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন ইত্যাদি করি। অনৈতিকভাবে কোনো কিছু করার কথা আমি বিশ^াসও করি না। আমার উত্তরে আমি সেসবই বলেছি।’
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সংযুক্ত শিক্ষক শাহাব উদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘আমি এসবে ইনভলভ না। আমি জবাবে আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’ কী কারণে এটা ফাঁস হতে পারে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হয়তো বিষয়টিতে তার সংশ্লিষ্টতা বা গুরুত্ব বোঝাতে করে থাকতে পারে।’ মতিঝিল এলাকার একটি স্কুলের সংযুক্ত শিক্ষক বলেন, ‘আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটিতে ব্যস্ত ছিলাম। তাই কীভাবে কী হয়েছে বলতে পারব না। আমার উত্তরে আমি তাই বলেছি।’
মাউশির মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তার বক্তব্য:
এসিআর ফাঁসের বিষয়ে মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক-১ এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ১৩ শিক্ষকের সবাই তাদের জবাব দিয়েছেন। এসব জবাব যাচাই-বাছাই করে ফাইল উঠানো হবে। বিষয়টি কীভাবে ঘটল, কারা জড়িত তা চিহ্নিত করতে কোনো তদন্ত করা হবে কি না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ফাইল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে, তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবেই সব হবে।’ এ-সংক্রান্ত নথি মহাপরিচালক অনেক আগেই স্বাক্ষর করেছিলেন, কিন্তু উঠানো হয়েছে দেরিতেÑ এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সত্য নয়, মহাপরিচালক মাঝখানে অসুস্থ ছিলেন, তাই অনেক ফাইল নামেনি। সে জন্য কিছুটা দেরি হতে পারে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বুধবার মাউশি মহাপরিচালকের সঙ্গে তার দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে মহাপরিচালক প্রতিবেদকের বক্তব্য শুনে সংশ্লিষ্ট তথ্য না দেখে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। তিনি এ বিষয়ে প্রতিবেদকের বক্তব্য প্রশ্নের আকারে দিতে বলেন, সে অনুযায়ী তাকে প্রশ্ন ও মাউশির কারণ দর্শানো নোটিশের কপি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীকে ডেকে বিষয়টি অবহিত হন। পরে হেনরী এই প্রতিবেদককে জানান, মহাপরিচালক বলেছেন, ‘আপাতত ১৩ শিক্ষকের সংযুক্তি বাতিল করে তাদের নিজ নিজ স্কুলে পাঠানো হবে। পরবর্তী সময়ে বিধি অনুযায়ী ফাইল উঠিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন