ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

রোপা আমন ধানের কাঁচা শীষে কৃষকের স্বপ্ন

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দিগন্ত জোড়া রোপা আমন ধানের সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে। ধানের কাঁচা শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠছে কৃষকের মন। আমন ধানের কাঁচা শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। যেন সবুজ মাঠে হারিয়ে যায় মন।

আমন ধানক্ষেতে ঢেউয়ের মতোই খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা-পাকা শীষ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধু ঘন সবুজের সমারোহ। আর এই সবুজ ধান গাছের কাঁচা শীষের ঢেউয়ে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। কয়েকদিনের মধ্যেই কাঁচা শীষ পাকতে শুরু করবে।

আর মাত্র ক’দিন পরেই সবুজ ধানগাছ ও শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। ফলে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ২২ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শীষ বের হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি ক্ষেতে শীষের সমারোহ। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত রোপা আমন ধান অনেক ভালো হয়েছে। উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক মুজিবুর, মিলন, হিরন, লোহিতপুর গ্রামের কৃষক বাবুল, জামাল, সাইদসহ অনেকেই বলেন, আমাদের ফসল খুব ভালো হইছে। আশা করি ভালো ফলন পাইয়াম। আর কয়দিন পরেই ফলন ঘরে তুলতারাম।’

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাঈমা সুলতানা জানান, ‘চলতি বছর উপজেলায় ২২ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফসলও বেশ ভালো হয়েছে। আশা করি বাম্পার ফলন হবে।