ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী (২০) নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার সংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আটক রফিকুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুল ইসলাম হারুন ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটকের বিষয়টি রূপালী বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী থাকলেও নিয়মিত ওই নারী স্কুলে যেতেন। অন্য মেয়েদের সাথে তিনিও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠদানে অংশ নিতেন। গত ২২ অক্টোবর বিকেলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কৌশলে প্রতিবন্ধী ওই নারীকে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার নামাজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিছু ছাত্র-ছাত্রী ঘটনাটি দেখে ফেললে শিক্ষক দ্রুত পালিয়ে যান।
সংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ আলী বলেন, ‘এক সপ্তাহের বেশি আগে তখন মডেল টেস্ট পরীক্ষার ডিউটি থাকায় আমি সেদিন বিদ্যালয়ে ছিলাম না। পরবর্তীতে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে জানতে পারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ওই নারীর গায়ে হাত দিয়েছেন। তবে, কেউ সরাসরি ঘটনাটি দেখেছে এমন কাউকেই পাইনি। এই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী সমগ্র দেশ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এখন আমরা তো কেউ ঘটনাটি দেখিনি। রফিকুল মাস্টার বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করেন। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তার রয়েছে। কখনো উনার বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ আমরা শুনিনি।’
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, যদি ঘটনাটি সত্য হয় তাহলে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়, আর যদি মিথ্যে হয় তাহলে যারা শিক্ষকের সম্মান নিয়ে খেলছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।
ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে হালুয়াঘাট থানা হেফাজতে রয়েছেন। ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

