ময়মনসিংহের সদরে নিখোঁজ হওয়া আশিক (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ তিন দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহীন ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া ভাটিঘাগড়া এলাকার পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আশিক ওই গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আশিক নিখোঁজ ছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবক শাহীন (২৫) তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই আশিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের ধারণা, ৩০ অক্টোবর রাতে শাহীন ও তার সহযোগীরা শ্বাসরোধ বা আঘাত করে আশিককে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ডুবিয়ে রাখেন।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত শাহীন মাদক সেবন ও চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর।’
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার রডের শাবল উদ্ধার করেছে, যা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে পারে।



