ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

নওগাঁ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান, যা মিলল

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রমে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

বুধবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টাব্যাপি এই অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা। এ সময় রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা।

দুদকের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতারা। সেইসঙ্গে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

নওগাঁ সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রাম থেকে ছেলেকে চিকৎসা করাতে আসা সুমি আক্তার বলেন, হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি ৫ দিন দিন হচ্ছে, এখনো খাবার পাইনাই। আমাদের বাড়ি দূরে হওয়ায় হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, যারা খাবার বিতরণ করতে আসে তারা দেখে দেখে খাবার দেয়। সবাইকে খাবার দেয় না। দুদকের এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা হলে হাসপাতালগুলোর দুর্নীতি কমে আসবে।

নওগাঁর কানমটকা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। গত ৩ আগে ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। গত ৩ দিনে কোনো খাবার পাইনাই। আজকে সকালে একটা কলা, রুটি এবং ডিম দিয়েছে। তা ছাড়া সব খাবার বাইর থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। ডাক্তারারও আমাদেরকে সময়মত ভিজিট করতে আসেনা।

অভিযানের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁর উপসহকারী পরিচালক মেহবুবা খাতুন রিতা বলেন, হাসপাতালে বরাদ্দের চেয়ে কম খাবার পরিবেশন, ওষুধ কালোবাজারি, হাসপাতালের সরকারি টেন্ডারে বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না আসা, রোগীদের সাথে দূর্বব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। 

তিনি বলেন, অভিযানে খাবারে অনিয়ম এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না আসার প্রমাণ মিলেছে। সরকারি টেন্ডারের কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নথিপত্রগুলো পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, দুদক কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। আমাদের এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা হলেও এখনো বরাদ্দ আসে ১০০ শয্যার।

তিনি বলেন, যার কারণে সব রোগীকে আমাদের পক্ষে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়না। ডাক্তারদের সময়মত না আসার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে উনারা যে নির্দেশনা দিয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।