নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের চার দিন পর ব্যাগভর্তি অবস্থায় সায়মা আক্তার মীম (২২) নামের এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক ব্রিজের ঝোপ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সায়মা আক্তার মীম পাবনা জেলার সুজানগর থানার দয়াল নগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তিনি মোগরাপাড়া আমতলা এলাকার ফিরোজ মিয়ার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সায়মা আক্তার মীম গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করে না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করে তার পরিবার।
এদিকে, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক সেতুর পাশে ঝোপের মধ্যে একটি বড় ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ব্যাগটি ঝোপ থেকে তুলে ভেতরে কালো পলিথিনে মোড়ানো এবং স্কচ টেপ দিয়ে প্যাঁচানো হাত-পা বাঁধা একটি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিখোঁজ সায়মার মামা খোকন শেখ সাগর মরদেহটি তার ভাগ্নির বলে শনাক্ত করেন।
সায়মার মামা খোকন শেখ সাগর জানান, তার ভাগ্নি কুমিল্লার রায়হান নামের এক যুবকের সঙ্গে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন। পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘স্বামী রায়হানই তার ভাগ্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ব্যাগ ভর্তি করে মরদেহ ফেলে যান। তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করলেই হত্যাকাণ্ডের কারণ বেরিয়ে আসবে’।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, ‘স্কচ টেপে মোড়ানো ব্যাগ থেকে এক যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।