বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম

বহিষ্কৃত যুবদল নেতাকে মঞ্চে উঠিয়ে মনোনয়ন বঞ্চিতদের সভা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম

এতে কেন্দ্রীয় যুবদলসহ তৃণমূল বিএনপির নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।  ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এতে কেন্দ্রীয় যুবদলসহ তৃণমূল বিএনপির নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আশরাফুল আলম আশরাফ প্রধানকে বহিষ্কার করা হয়।

দল থেকে সকল পদে অব্যাহতি দেওয়ার পরও গত ২৫ নভেম্বর তিনি পুনরায় কাঁচপুর এলাকায় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেন-যা সম্পূর্ণ সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করে করা কর্মসূচি। এই আচরণে কেন্দ্রীয় যুবদলসহ তৃণমূল বিএনপির নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ ঘটনায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় আশরাফ প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান।

এদিকে কেন্দ্রীয়ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন বঞ্চিত ৬ নেতা সম্প্রতি বহিষ্কৃত এই যুবদল নেতাকে প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ নভেম্বর) সংস্কারপন্থী রেজাউল করিমের নির্দেশনায় সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের মঞ্চে বহিষ্কৃত আশরাফ প্রধানকে ওঠানো হয়। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানে তাকে নেতাদের সঙ্গে খোশগল্প, আলিঙ্গন ও একই টেবিলে খাবার খেতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, এটা শুধু মান্নানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না-এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও যেসব নেতারা বহিষ্কৃত ব্যক্তিকে মঞ্চে তুলছেন, তারা নিজেরাই দলের শৃঙ্খলা ভাঙছেন। কতোটা নিচে নামলে এমন অপকর্মকে প্রশ্রয় দেওয়া যায়?

সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ বিএনপির অনেক সিনিয়র ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মনোনয়ন বঞ্চিত কিছু নেতা ব্যক্তিগত ক্ষোভে দলকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বহিষ্কৃত নেতাকে মঞ্চে তোলা বিএনপির জন্য লজ্জাজনক। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমাদের দাবিএদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

তারা আরও বলেন, তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা ছিল মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে মাঠে কাজ করার। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি দলের ভাঙন সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এরা মাঠে মান্নানের বিরুদ্ধে নয় তারেক রহমানের আদেশের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।

স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, এই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিএনপির জন্য অশুভ সংকেত এবং অবিলম্বে কেন্দ্রীয় কমিটির কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তৃণমূলের দাবি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী মনোনয়ন বঞ্চিত ৬ নেতা ও বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফ প্রধানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!