ময়মনসিংহের ত্রিশালে মেয়ের সাথে চেহারার মিল থাকায় মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি আকমল হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেপ্তার আকমল হোসেন উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা ও একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। রোববার (০৯ নভেম্বর) বিকালে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪র কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার র্যাব-৪ নবীনগর সিপিবি-২ এর সহায়তায় ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) রাতে ত্রিশাল থানায় ওই নারী বাদী হয়ে আকমল হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথির সুত্র জানায়, গত ১৮ অক্টোবর ত্রিশাল উপজেলায় একটি গ্রামে ভোররাতে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসতঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে বের হওয়ামাত্র তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে বাড়ি থেকে অদূরে একটি ধানখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন আকমল। ওই সময় গৃহবধূ চিৎকারে স্বামী এগিয়ে গেলে আকমল পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর ছোট ভাইয়ের দাবি, তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগনিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোরে ভাগনির ওড়না জড়িয়ে টয়লেটে যান বোন। সেই ওড়না দেখে ভাগনি মনে করে তার বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ভয়ে তার বোনের পরিবার থানায় যেতে পারেনি। তাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই অবস্থায় তিনি বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানালে পুলিশ মামলা নেয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার ভাষ্য, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী দেখতে মায়ের মতো। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আকমল। তিনি মাস দুয়েক ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। তখন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনসুর আহমেদ বলেছিলেন, মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে, লোকজন এমন কথা বললেও মামলার অভিযোগে এমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন