একদিনে ৩ জেলায় পানিতে ডুবে ৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুরে ৪, ভোলায় ৩ ও নোয়াখালীতে ১ শিশুর মৃত্যু হয়।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ও বিকেলে এ ঘটনাগুলো ঘটে।
মেহেরপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শাপলা তুলতে গিয়ে হঠাৎ একটি শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে গেলে তাকে উদ্ধার করতে অন্য তিনজনও পানিতে নামে। এক পর্যায়ে চারজনই তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ও চরভূতা ইউনিয়নে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে চরলক্ষ্মী এলাকায় প্রতিবেশী শিশু মোহনা ও নুসরাত বাড়ি থেকে একসঙ্গে খেলতে বের হয়। দীর্ঘ সময় তাদের পরিবার তাদেরকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বিকেলের দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া জেলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে আজ দুপুরে খেলাধুলা করার সময় পরিবারের অগোচরে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায় শিশু আলিফ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাঁশের সাঁকো থেকে খালে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে নিহত শিশুর মা শারমিন আক্তার নামাজ পড়ার জন্য ঘরে যান। ওই সময় শিশুটি পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পার হওয়ার সময় পা পিছলে খালের পানিতে পড়ে যায়। নিহতের মা নামাজ শেষে ঘর থেকে বের হয়ে লোকজনের চিৎকার শুনে খালের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি মেয়ের লাশ খালের পানিতে ভাসতে দেখেন।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন