ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, মাদ্রাসা পরিচালক গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
মাদ্রাসা পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১১) শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাখাওয়াত উল্লাহ (৩৮) নামের এক মাদ্রাসা পরিচালককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার (২৮ জুন) সকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া মাদ্রাসা পরিচালককে আহত অবস্থায় নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভিকটিম চাটখিল উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড় এলাকার হালিমাতুস সাদিয়া (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে এবং ওই মাদ্রাসার আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। গেল মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিকে থাকা ওই ছাত্রীকে কৌশলে অন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে ডেকে নেন মাদ্রাসা পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ। পরে পার্শ্ববর্তী একটি কক্ষে নিয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আবাসিক হোস্টেলে থাকা অন্যান্য ছাত্রীরা বিষয়টি আঁচ করতে পারলে ঘটনাস্থল থেকে সাখাওয়াত উল্লাহ বের হয়ে যান। ঘটনাস্থলে অনেক ছাত্রীই ওই পরিচালককে ভুক্তভোগীর রুম থেকে রাতে বের হতে দেখেন। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে যায় মাদ্রাসার পরিচালক। 

ভুক্তভোগী বিষয়টি সকালে অন্য শিক্ষকদের জানালে আশপাশের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে চাটখিল থানার ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামি নোয়াখালী সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীনে রয়েছে। সুস্থ হলে পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।