নোয়াখালীর চাটখিলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে স্থানীয় যুবদল কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ইটপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে রাতেই চাটখিল পৌর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। জামায়াতের বিক্ষোভের পর বিএনপির নেতাকর্মীরাও পাল্টা বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালী-১ (চাটখিল–সোনাইমুড়ি) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ছাইফ উল্লাহর বৈকুণ্ঠপুর স্কুল মাঠ এবং রামনারায়ণপুর লাল মসজিদের সামনে পূর্ব নির্ধারিত দুটি কেন্দ্রভিত্তিক গণসংযোগ ছিল। গণসংযোগ চলাকালে কর্মীরা বাধার সম্মুখীন হন এবং পরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার দৃশ্য ধারণ করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলায় রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুল মান্নান (৩৪), নাহিদ (২২)সহ মোট ছয়জন আহত হন। আহত মান্নান ও নাহিদকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হুমায়ুন কবির সুমন অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় যুবদল নেতা রিয়াদের নেতৃত্বে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে হামলা করা হয়েছে। আমরা কর্মীদের নিবৃত্ত করায় বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অন্যদিকে, চাটখিল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছ আহমেদ হনিফ বলেন, ‘ইটপুকুরিয়া গ্রামে জামায়াত নেতারা মসজিদে ভোট চাইতে গেলে স্থানীয় একজন মুরব্বি বাধা দেন। এ নিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তর্কাতর্কি হয়।’ তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের পাঁচজন আহত হয়েছেন।
চাটখিল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘যুবদলের নেতারা আমাদের শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে হামলা করেছে। আমরা আশা করি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দায় নিতে হবে।’
চাটখিল থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ‘একজন প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।’
