ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

নোয়াখালীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ওছখালী জিরো পয়েন্টে বিএনপি মনোনীত প্রাথী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এবং হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজিম অনুসারীর হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ইফতেখার হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ওছখালী বাজারে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রাথী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল কর্মসূচি দেন সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীরা। সন্ধ্যার দিকে উপজেলার তমরদ্দি থেকে মশার মিছিলে যোগ দিতে আজিম অনুসারী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার ওছখালীর বাড়ির উদ্দেশ্যে আসতে থাকেন। 

এ সময় শামীম অনুসারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য  আজিম অনুসারীর প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আজিম অনুসারীর নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে শামীম অনুসারীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে শামীম অনুসারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। বর্তমানে আমাদের প্রায় ৮-১০ জন নেতাকর্মী উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।  

শামীম অনুসারীর হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব কাউছার মোস্তফা বলেন, ওছখালী বাজারের রেডট্রি হোটেলের সামনে থেকে ধানের শীষ মার্কার সমর্থনে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। ওই সময় উপজেলার তমরদ্দি থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আজিম অনুসারী নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে ওছখালি বাজারে আসেন। একপর্যায়ে ওছখালি বাজার মোড়ে দুটি মিছিল মুখোমুখি হয়ে যায়। 

এ সময় আজিম অনুসারী নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরবর্তীতে তারা শামীম অনুসারী হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকারম বিল্লাহ শাহদাতের বাসায় হামলা চালায় এবং ছররা গুলি ছোড়ে। ওই সময় সড়কে শামীম অনুসারীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। বর্তমানে ওছখালী বাজার আমাদের দখলে রয়েছে।

হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমার কাছে আহত হওয়ার কোনো সংবাদ নেই।’