সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় গোপনাঙ্গ কাটলেন নাজমুল

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

নাজমুল এখন গুরুতর আহতবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।    ছবি- সংগৃহীত

নাজমুল এখন গুরুতর আহতবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি- সংগৃহীত

পরিবার থেকে বিয়ের চাপ দেওয়ায় নিজের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন নাজমুল নামের এক যুবক। বুধবার (২৬ জুন) পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মানিকনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও সম্প্রতি জানাজানি হয়েছে। নাজমুল ওই গ্রামের মিন্টু মোল্লার ছেলে।

জানা গেছে, নাজমুল পেশায় একজন ভেকু চালক। তার তিন বোনের মধ্যে বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। নাজমুল মেঝ, তার ছোট আরও দুটি বোন অবিবাহিত রয়েছে। তাকে পরিবার থেকে মাঝে মধ্যে বিয়ের কথা বলা হলে এতে সে রাজি হতো না। ঘটনার দিন দুপুরে তার পরিবার থেকে বিয়ের কথা বলা হলে সে বলে, আগে আমার বোনদের বিয়ে দিয়ে তারপর আমি বিয়ে করব। এ নিয়ে একটু কথাকাটাকাটি হয়।

পরে নাজমুল বাজার থেকে ব্লেড কিনে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে বাথরুমে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর তার চিৎকারে সবাই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

পরে জানা যায়, লিঙ্গ কাটার পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন করা গেলে তা জোড়া লাগানো সম্ভব। এরপর বাথরুম থেকে বিচ্ছিন্ন অণ্ডকোষ ও লিঙ্গ উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে গেলেও তার অপারেশন করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশীরা জানায়, নাজমুলকে তার নানা, দুলাভাই ও তার মা প্রায়ই বিয়ের কথা বলত, এতে সে রাজি হতো না। তবে ঘটনার দিন কেউ তাকে হিজরা বলেছিল। সে রাগেই নিজের লিঙ্গ কেটে ফেলতে পারে।

এ বিষয়ে কৈটলা ইউনিয়নের ৯নং ইউপি সদস্য মো. রফিক জানান, ঘটনার পর তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে পুলিশ কেস হওয়ায় হাসপাতালে তাকে তাৎক্ষণিক ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। পরে ভর্তি করা গেলেও ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার কারণে তার বিশেষ অঙ্গ জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। নাজমুল এখন পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।

নাজমুলের বাবা জানান, যুবক ছেলেকে সবাই বিয়ের কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। ওর নানা ও দুলাভাই মাঝে মধ্যে বিয়ের কথা বলতো। তবে ঘটনার দিন আমি বাড়ি ছিলাম না। কী কারণে এমন কাজ করল আমরা বুঝতে পারছি না।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নাজমুলের অস্ত্রপচার ঢাকা মেডিকেল কলেজেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!