পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি হামলা-সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রধারী যুবক তুষার হোসেন (২১)-কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি মতিন সাহেবের ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি জানায়, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে তুষারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঈশ্বরদীর ভেলুপাড়া এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তুষার ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া মহল্লার তাহের হোসেনের ছেলে।
গত ২৭ নভেম্বর ঈশ্বরদীর সাহাপুর চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় পাবনা-৪-এর জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল গণসংযোগে গেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারীরা সাথে হামলা করেছেন বলে অভিযোগ আসে। হামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরদী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। বিএনপির পক্ষে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার ছেলে বাঁধন হাসান আলিম বাদী হয়ে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির এবং পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলকে প্রধান আসামি এবং অস্ত্র হাতে যুবক তুষার হোসনকে ৬ নম্বর আসামি করে ৩২ জন জামায়াত নেতার নাম উল্লেখ মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে। এ ছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।


