ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে নারীকে মারধর

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে নারীকে মারধর। প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালী জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা হলে তা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি সামনে আসার পর হোটেলটির বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে তিন নারীসহ মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে, শহরের পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় সংলগ্ন একটি হোটেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, কালো রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবক এক নারীকে ধাক্কা দিচ্ছেন ও মারধর করছেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী ওই যুবকের হাতে-পায়ে ধরে আকুতি জানাচ্ছেন। ভিডিওতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সদস্যকেও হোটেলটির বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করতে দেখা যায়। এ সময় তারা ওই হোটেলে যৌন ব্যবসা চলার অভিযোগ করেন।

গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রপ্রতিনিধি সজিবুল ইসলাম বলেন, ওই আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চলায় স্থানীয় লোকজন বিরক্ত। বুধবার বিকেলে তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা ওই হোটেলে যান। কয়েকটি কক্ষে কয়েকজন নারীকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ মীরা (৪০) নামের একজন হঠাৎ কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধর শুরু করেন।

তরুণীকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে মাসুদ মীরা বলেন, লোকজনের ভিড় দেখে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে নারীকে মারধর করা ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

পটুয়াখালীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, একটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার অভিযোগে কয়েকজন নারীকে আটক করে ছাত্র-জনতা তাদের খবর দেয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ভিড় ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশের সদস্যদের নিয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপক ও তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মারধরের বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা শহরের একটি হোটেল থেকে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা তিন নারীসহ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।