জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশের ৫০৭টি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনকে টপকিয়ে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা। ফলে টানা দুই মাস (মে ও জুন) এক নম্বরে থাকা দুমকীর ইউএনও আবুজর মো. ইজাজুল হকের সাফল্যের পালকে যোগ হলো বর্ষসেরার মুকুটও।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দুমকি উপজেলার অর্জন ১১৮.৫৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা, যার সমন্বিত অর্জন ১১৬.৫২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা, অর্জন ১১৫.১১ শতাংশ।
দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, ‘এটা শুধু আমার একার নয়, দুমকীবাসীর সাফল্য। জেলা প্রশাসক স্যার ও ডিডিএলজি স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ; তাদের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণায় এটা সম্ভব হয়েছে। আমি টিম লিডার হিসেবে নিয়মিত তদারকি করেছি। গ্রামপুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘এটা অবশ্যই কৃতিত্বপূর্ণ। আমি দুমকী উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই; তাদের সমন্বিত প্রয়াসের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। দুমকীবাসীকেও আমার অভিনন্দন।’
বরিশাল অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘ইউএনও, দুমকীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত মিটিং করে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনেছেন। চেয়ারম্যান, সচিব দিয়ে মনিটরিং কার্যক্রম নিশ্চিত করেছেন। সে জন্যই এই সফলতা। এটাকে মডেল হিসেবে ধরা গেলে অন্যরাও সফল হবে।’