পিরোজপুরের নেছারাবাদে মো. মাহবুব হোসেন নামে এক জামায়াত নেতার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে জামায়াতের রাজনীতি ছাড়তে হবে, এমনকি রাজনীতি না ছাড়লে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কামাল হোসেন ও হাফিজুর মৃধার বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নেছারাবাদ থানার ওসি বনি আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জুলুহার গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় রোববার রাতে তিনি বাদী হয়ে জুলুহার গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে মো. কামাল হোসেন এবং মেসন্ডা গ্রামের মো. হাফিজুর মৃধার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কামাল ও হাফিজুর দীর্ঘদিন ধরে মাহবুব হোসেনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে জামায়াতের রাজনীতি ছাড়তে হবে এবং অস্বীকার করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে জুলুহার বাজারে পুনরায় চাঁদা দাবি করলে মাহবুব হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় তারা হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী মো. মাহবুব হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বিএনপি কর্মী পরিচয়ে কামাল ও হাফিজুর বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করছে এবং জামায়াতের রাজনীতি না করতে বলছে। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। আমি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই খবর জানার পর কামাল রাত ১১টার দিকে নিজ দোকান ভেঙে প্রচার করতে থাকে যে, তার দোকানে ডাকাতি হয়েছে।’
সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মাহবুব ভাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও গালাগাল ও হুমকি দেয়। এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কামাল হোসেন বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হচ্ছে।’
নেছারাবাদ থানার ওসি বনি আমিন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন