রাজশাহীর মোহনপুরের ‘দেশ কোল্ড স্টোরেজ’-এ সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে ডাকাত দলের সদস্য সাজেদুল শেখ ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী নগরীর উপশহরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এএএম হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ৭ আগস্ট রাজশাহীর মোহনপুরের দেশ কোল্ড স্টোরেজে শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে ৬৬ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, তামার তার ও নগদ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সিআইডি তদন্ত শুরু করে।
প্রযুক্তির সহায়তায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা মালামাল উদ্ধার করা হয়। তাদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ সুপার জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বাবা ও ছেলে সাদেক ও হাসান বর্তমানে ঢাকায় থেকে এই ডাকাত দল পরিচালনা করেন।
তাদের নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জনের একটি দল ট্রাক নিয়ে সারা দেশের কল-কারখানা থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও তামার তার ডাকাতি করে। এই দলেরই ১৪ জন রাজশাহী দেশ কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিলেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে অংশ নেওয়া ডাকাত দলের ৮ সদস্য নাটোর চিনিকলে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এই গ্রুপটি রংপুর চিনি কলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
হুমায়ুন কবীর জানান, এই ডাকাত চক্রের সদস্যদের অধিকাংশ সিরাজগঞ্জে থাকেন। তারা ঢাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। এই চক্রের দুজন সারা দেশে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে।
পরে দলের প্রধান বাবা ও ছেলে ডাকাতির স্থান নির্ধারণ করে জানিয়ে দেন। একটি ডাকাতিতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ জন অংশ নেন। প্রতিজন সদস্যকে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, ডাকাতির জন্য তারা দুটি নম্বরবিহীন পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করে এবং মোবাইল ও সিম একবার ব্যবহার করার পর ফেলে দেয়। এই দলের অধিকাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।