ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রাজশাহী-ঢাকা রুটে ফের ধর্মঘটের ডাক পরিবহন শ্রমিকদের

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
শিরোইল বাসস্ট্যান্ডে ধর্মঘটে পরিবহন শ্রমিকরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী দূরপাল্লার বাস চলাচল আবারও বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। টানা চার দিন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মালিকদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে রাজশাহীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।

ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের দাবি, একতা পরিবহনের চালক-সহকারীদের মতো বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে বারবার দাবি জানানো হলেও তা মানা হয়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুরে মালিকদের পক্ষ থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। চার দিনের অচলাবস্থার পর মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানানো হয় সেই সময়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ভবিষ্যতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বাস চলাচল বন্ধ করা যাবে না এবং নিয়মিত সুশৃঙ্খলভাবে পরিবহন চলবে।

তবে বিকেলের মধ্যেই শ্রমিকদের একাংশ মালিকদের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে আবারও কর্মবিরতির ডাক দেন। তারা জানান, বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

পরিবহন মালিকদের দাবি, শ্রমিকরা নতুন করে কিছু ‘অযৌক্তিক’ দাবি তুলেছেন, যা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ফলে আবারও মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মালিকরা হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এরপর টানা চার দিন পরিবহন না চলায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই এই নিয়ে তৃতীয় দফায় বাস ধর্মঘটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হলো।

এদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মালিক-শ্রমিক বৈঠকে চালকদের বেতন ট্রিপপ্রতি এক হাজার ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজরদের ৫০০ থেকে ৭৫০ এবং সহকারীদের ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। এটি ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, তার আগেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা।

ফলে, রাজশাহী-ঢাকা রুটের বাস চলাচল অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।