শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

র‍্যাবের অভিযানে রস ছাড়াই তৈরি করা বিপুল পরিমাণ গুড় জব্দ

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

রাজশাহীতে রস ছাড়াই তৈরি করা গুড় জব্দ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীতে রস ছাড়াই তৈরি করা গুড় জব্দ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কোনো ধরনের রস ছাড়া গুড় তৈরি করা হচ্ছে- গুড়। যা চিনি, কাপড়ে দেওয়া রঙ, আটা ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার শাহাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব।

এ সময় বিপুল পরিমাণ চিনি ও ভেজাল গুড় জব্দ করে র‍্যাবের সদস্যরা। একটি কারখানার মালিক লাকি ও সান্টুকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন রাজশাহী ভোক্তা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আরও কারখানায় জরিমানা করা হবে এবং এসব ভেজাল গুড় ধ্বংস করা হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামটিতে গুড় তৈরির তিনটি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় আখ ও খেজুরের রসের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবুও তৈরি হচ্ছে গুড়। কোনো কোনো কারখানার ভেতরে দেখা যায়, চুলায় কড়াই বসিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে এবং পাশেই বিভিন্ন খাঁচার উপর ফেলে তৈরি করা হচ্ছে আকৃতি। তৈরি গুড় স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।

এই এলাকায় গুড় তৈরি করেন নানটু মিয়া। তবে র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। তার স্ত্রী মোসা. লাকি অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘এ গুড়গুলো তৈরিতে কোনো ধরনের রস ব্যবহার করা হয় না। শুধু চিনি দিয়ে আখ ও খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়।’

তিনি আরও জানান, এতে মেশানো হয়—কাপড়ে দেওয়া রঙ, আটা, হাইড্রোজ, গ্যাস পাউডার, চুন, চিনি ইত্যাদি। এরপর এসব গুড় রাজশাহী, নাটোর, পাবনার বিভিন্ন মেকামে পাঠানো হয় এবং বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। একই এলাকার শান্টুকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

র‍্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খানে যে গুড় পাওয়া গেছে, তাতে আখ বা খেজুরের রসের কোনো উপস্থিতি নেই। সবগুলো চিনি ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। এসব কারখানায় প্রায় এক টন মতো ভেজাল গুড় রয়েছে। এগুলো ধ্বংস করা হবে।’

Link copied!