বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১১:৫২ পিএম

আ.লীগের কর্মী আমিনুর এখন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১১:৫২ পিএম

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিবাদী মানববন্ধন হয়েছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিবাদী মানববন্ধন হয়েছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আ.লীগের কর্মী আমিনুর রহমানকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকাল তিনটার দিকে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ব্যানারে পৌরসদরের টার্মিনাল এলাকায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘সাবেক ইউপি সদস্য আ.লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তিনি সক্রিয়ভাবে আ.লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বিধায় বিগত সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে একাধিক উঠান বৈঠকে অংশ নেওয়ার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সরকার পতনের পর ১৭ আগস্ট নিজস্ব বাহিনী নিয়ে আ.লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তার নির্দিষ্ট চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলেন। একটি পক্ষের কারসাজিতে জালিয়াতিপূর্ণভাবে প্রস্তুতকৃত ভোটার তালিকার সুযোগ নিয়ে তাকে কৌশলে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।’

বক্তারা অবিলম্বে আ.লীগ কর্মী আমিনুর রহমানকে নির্বাচিত করার বিতর্কিত ভোট বাতিল করে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়দের সমন্বয়ে নতুনভাবে ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সাকাত হোসেন, জাসাস নেতা জাহিদ হোসেন, শ্রমিক নেতা আবু ইউসুফ, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

এদিকে, চিহ্নিত তিনজন আ.লীগ কর্মীকে শ্যামনগর পৌরসদরের চন্ডিপুর ও বাদঘাটা ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্বে নির্বাচিত করার প্রতিবাদে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে তারা এতদসংক্রান্ত লিখিতভাবে অভিযোগ জানান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আ.লীগের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ইমরান, নুর ইসলাম বাবু ও আমিনুর রহমানকে কৌশলে বিএনপির নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি ও নাশকতার মামলায় আসামীদের নাম সরবরাহ করতেন।

এসময় তারা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে উক্ত তিন ব্যক্তির আ.লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের একাধিক তথ্যপ্রমাণ সরবরাহ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে আমিনুর রহমান জানান, ইউপি সদস্য হওয়ায় তাকে আ.লীগের এমপির নির্দেশনা মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হতো। তবে আ.লীগের কোথাও তার নাম নেই। একই দাবি করেন অপর দুই অভিযুক্ত নুর ইসলাম বাবু ও ইমরান।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু জানান, তিনজনের বিষয়ে কিছু তথ্যপ্রমাণসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে কাউন্সিলের আগেই এসব প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরকে কোনোভাবেই বিএনপির সদস্য ফরম নবায়নের সুযোগ দেওয়া হতো না। উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে অভিযুক্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Shera Lather
Link copied!