ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

স্ত্রীর তালাকনামা হাতে পেয়ে স্বামীর দুধ দিয়ে গোসল 

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
দুধ দিয়ে গোসল করছেন ফজল মিয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

১৮ বছর সংসার করার পর স্ত্রীর পাঠানো তালাকনামা হাতে পেয়ে ‘পাপমুক্তির’ আশায় ৪০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন শেরপুরের পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি। আর এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। যা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে পুরো এলাকায়। 

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিত খিলা ইউনিয়নের মধ্য কুমড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দুধ দিয়ে গোসল করা ব্যক্তির নাম ফজল মিয়া (৫২)। তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। সে মধ্য কুমড়ি গ্রামের প্রয়াত আক্রাম হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজল মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ময়না বেগমের বিয়ে হয় দেড় যুগ আগে। তাদের সংসারে ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে বিয়েও দেয়া হয়েছে।

তবে কয়েক মাস যাবৎ সংসারে অভাব থাকায় শেরপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে আয়ার কাজ নেন স্ত্রী ময়না। পরে স্বামী ফজল মিস্ত্রিকে বুঝিয়ে ঢাকায় এক সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর যাবত স্বামীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ফজল মিয়ার দাম্পত্য কলহ চলে অসছিল।

ব্যাপারটি তীব্র আকার ধারণ করলে ময়না বেগম এক সন্তান রেখে ঢাকা থেকেই স্বামীর কাছে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন। তালাকনামা পেয়ে ফজল মিয়া বাজিতখিলা বাজারে শত শত মানুষের সামনে দুধ দিয়ে গোসল করেন এবং বলেন ‘পাপমুক্ত’ হলাম। কোন পুরুষ মানুষ যেন স্ত্রীকে একা কখনও ঢাকায় কাজের জন্য না পাঠায়। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েকমাস ধরে তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ময়না বুধবার আমাকে তালাক দিলে আমি তালাকনামা হাতে পেয়েছি। এতে খুশি হয়ে স্ত্রীর পরকীয়ার পাপ মোচন করতে দুধ দিয়ে গোসল করেছি।’

বাজিতখিলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রুবেল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঢাকা কাজে যাওয়ার পর থেকে ফজলের সাথে ময়না বেগম যোগাযোগ ছিলনা বলে শুনেছি এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। পরে ময়না বেগম বুধবার ফজলের কাছে তালাকনামা পাঠালে ফজল দুধ দিয়ে গোসল করে।’