সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ১০ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খয়েরদিরচর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে কিশোর শিপন মিয়া (১৬) কে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় এই মামলাটি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কন্যা শিশুটি জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী৷ সে উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটি পাশের বাড়িতে খেলাধূলা করে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় পথিমধ্যে শিপন মিয়া তাকে ডাক দেয়। পরে কৌশলে পরিত্যক্ত একটি রান্না ঘরের ভেতরে নিয়ে তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই হাত রশি দিয়ে বেধে তাকে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে শিশুটির রশি বাধা দুই হাত খুলে দিলে সেখান থেকে সে কাঁদতে কাঁদতে নিজ বাড়ি চলে আসে। প্রস্রাব করতে শিশুটির ব্যথা অনুভব করায় এবং সে কেন কাঁদছে তার কারণ জানতে চান শিশুটির মা।
ওইদিন রাত আটটার দিকে পুরো ঘটনাটি শিশুটি তার মাকে জানায়। শিশুটির মায়ের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পরে তাঁদের আত্বীয় স্বজনের সঙ্গে এ নিয়ে পরামর্শ করেন শিশুটির বাবা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওইদিন রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধর্মপাশা থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
