সিলেট মহানগরের শাহপরাণ আবাসিক এলাকায় ছেলের ছুরিকাঘাতে রহিমা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা বেগম শাহপরাণ এলাকার হেপি কমপ্লেক্সের ভাড়াটিয়া আব্দুল গাফফারের স্ত্রী। তার স্থায়ী ঠিকানা জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের আইওর গ্রামে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে রহিমা বেগমের ছেলে বদরুল ইসলাম (৪২) ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বদরুল ইসলাম আগে ইমামতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও গত চার মাস ধরে বেকার ছিলেন। পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
নিহতার পরিবারের সদস্যরা জানান, বদরুল ছিলেন তার বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান। সাম্প্রতিক সময়ে তার আচরণ ছিল অত্যন্ত অস্বাভাবিক।
শাহপরাণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল জানান, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন। অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রতিবেশীরা জানান, রহিমা বেগম ছিলেন শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপরায়ণ নারী। তার এমন করুণ মৃত্যুতে তারা হতবাক ও ব্যথিত।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন