মসজিদের নামকরণ নিয়ে মতবিরোধ ও বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে আ.লীগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের ফিংলী নদীর উত্তরপাড় মসজিদের নামকরণ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের ৫ জন সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ মিয়া চৌধুরী গংদের সঙ্গে একই গ্রামের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরে মাহমুদ মিয়া, আশরাফ মিয়া গংরা মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করেন। এ নিয়ে মসজিদের মোতাওয়াল্লি নেতা সালেহ আহমদ চৌধুরী গংদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মসজিদের পক্ষ থেকে সালেহ আহমদ হঠাৎ নাম পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে, এ নিয়ে মাহমুদ মিয়া ও আশরাফ মিয়ার পক্ষে লোকেরা বাগবিতণ্ডা শুরু করলে তা কিছুক্ষণের মধ্যেই চরম রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ঘে জড়িয়ে পড়েন। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন।
জানতে চাইলে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরী বলেন, মাহমুদ মিয়া ও আশরাফ মিয়া গংরা মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করেন। মসজিদের পঞ্চায়েত পক্ষ থেকে আমি জিজ্ঞেস করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ মিয়া চৌধুরী বলেন, ১২ বছর ধরে ঘোলডুবা নদীর উত্তরপাড় জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরী। কিন্তু গত ১২ বছরে মসজিদের কোনো হিসাব দেননি। মুসল্লিরা হিসাব চাইলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে কোনো হিসাব দেননি। এ নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও মারামারি হয়।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষই থানায় মামলা দেয়নি এখন পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :