চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত এক মামলায় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. বুলবুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল জানিয়েছেন, ওই দিন মামলার বাদী প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি চয়নিকা চৌধুরী আদালতে হাজির হননি।
তার পক্ষের আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। সঙ্গে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। পাশাপাশি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ নাটক ‘জীবন সুন্দর হোক’ নির্মাণের জন্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, রিয়াজ চয়নিকাকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
চুক্তির পর নাটক নির্মাণ না হওয়ায় এবং টাকা ফেরত চাইলে, চয়নিকা ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর বাদীকে সমপরিমাণ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু একাধিকবার ব্যাংকে সেই চেক জমা দিলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
এরপর চয়নিকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নাটক নির্মাণে অপারগতার কথা জানান এবং টাকা ফেরত দেওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেননি।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে রিয়াজ চয়নিকার কাছ থেকে টাকা আদায়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। তাতে কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ২০১৩ সালের ১৪ মে তিনি ঢাকার আদালতে মামলা করেন।
মামলার পর ২০১৪ সালের ২ জুন চয়নিকা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলাটি ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন থাকার পর অবশেষে এবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
চয়নিকার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ মামলার বিবরণীতে দাবি করেন, ‘নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নাটক নির্মাণের চুক্তি করেও কাজ করেননি। টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতারণা করেছেন।’
২০০১ সালে ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে টিভি নাটকের নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরুর পর দুই দশকের ক্যারিয়ারে তিনশ’র বেশি টিভি নাটক নির্মাণ করেন চয়নিকা।
আপনার মতামত লিখুন :