ঈদুল আজহার আর মাত্র ৬ দিন বাকি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে কাটাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে মোট ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ভোর ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেশে আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সূচি অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হলেও সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় স্বত্বির ছাপ যাত্রীদের চোখে-মুখে। ভীড় বা বিম্বড়না ছাড়াই ট্রেনে ওঠা এবং নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তষ্ট যাত্রীরা।
রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে বাড়তি ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ সময় নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আগের মতোই চলবে। স্থগিত থাকবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ছুটি। ঢাকায় কোরবানির পশু সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিনটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন ২ দিনে চালানো হবে।
ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশের প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে ঈদের আগে-পরে ১০ দিন করে মোট ২০ দিন ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ ছাড়া আজকের যাত্রার ট্রেনের আসনের টিকিটগুলো ১০ দিন আগে অনলাইনে বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হয়েছে। ট্রেনের ৩১ মে’র আসন বিক্রি হয়েছে ২১ মে, ১ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২২ মে, ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে, ৩ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৪ মে, ৪ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৫ মে, ৫ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৬ মে এবং ৭ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৭ মে।
আপনার মতামত লিখুন :