বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের টাকা ফেরত দিচ্ছে না ৩ ব্যাংক

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের টাকা  ফেরত দিচ্ছে না ৩ ব্যাংক

ফাইল ছবি

রপ্তানিমুখী সব পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিটি এলসি নগদায়নের সময় রপ্তানি মূল্যের নির্ধারিত হারে অর্থ জমা দেয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে। এসব অর্থ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হওয়ার কথা। 

দেশের দুর্বল তিনটি ব্যাংক ও খুঁড়িয়ে চলা একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ৬৫ কোটি টাকা এফডিআর হিসাবে জমা রেখেছিল। জমা রাখা এফডিআরের এসব টাকা ফেরত পাচ্ছে না মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন ব্যাংকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এফডিআর করা ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকটির নওয়াবপুর রোড শাখায় ১০ কোটি এবং যমুনা ফিউচার পার্ক শাখায় ৫ কোটি টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংকের এই দুই শাখার এফডিআরের মেয়াদপূর্তি হয়েছে ২০২৩ সালের আগস্ট ও নভেম্বরে। মন্ত্রণালয় বারবার চেষ্টা করেও টাকা ফেরত পায়নি। 

এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মহাখালী শাখায় ২০ কোটি টাকার এফডিআর করা হয়। যার মেয়াদপূর্তি হয়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিল ও আগস্টে। এ ব্যাংকটি থেকেও টাকা ফেরত পাচ্ছে না মন্ত্রণালয়। 

অপরদিকে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের কারওয়ান বাজারের হেড অফিসে এফডিআর করা হয় ২০ কোটি টাকার। ২০২১ সালে যার মেয়াদপূর্তি হয়েছে। এতদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত দেয়নি ব্যাংকটি।

এফডিআরের মূল ও মুনাফার অর্থ ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও একাধিকবার চিঠি দেয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এরপরও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেয়নি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দুর্বল ব্যাংকে হয়তো বেশি লাভের আশায় এফডিআর করা হয়েছিল। যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আমানত রাখতে ব্যাংক ঠিক করে দেয় না, সেহেতু টাকা ফেরত না পেলেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে না। তবে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকে যে চিঠি পাঠিয়েছে, সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়ে তাগাদা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানিয়েছে, এফডিআরের অর্থ ফেরত পেতে ২০২২ সালের আগস্টে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে চিঠি দেয়। 

এরপরও প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে কোনো টাকা ফেরত না পেয়ে পুনরায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠায়। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি সরাসরি গিয়েও অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে কোনো সুরহা করা সম্ভব হয়নি। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এফডিআরের টাকা ফেরত পেতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঘুরছি। তবে কোনোভাবে টাকা ফেরত পাচ্ছি না। 

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকে এফডিআর করা হয়েছে সেসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা একাবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। মন্ত্রণালয়ে আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই এসব দুর্বল প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখেছিল।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!