বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

তিন মাসে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৪ বার, কারণ কী?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

তিন মাসে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৪ বার, কারণ কী?

ছবি: সংগৃহীত

রীতিমতো ‘সোনার হরিণে’ পরিণত হচ্ছে স্বর্ণালঙ্কার। কারণ, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন দেড় লাখ টাকার ওপরে। অথচ, এক বছর আগেও দাম ছিল ১ লাখ ১১ হাজার টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি (২২ ক্যারেট) বেড়েছে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা। কিন্তু দাম বৃদ্ধির কারণ কী?

দেশের বাজারে যে স্বর্ণ পাওয়া যায়, তার সবই আমদানি করা। ফলে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়লে দেশেও এর প্রভাব পড়ে। সবশেষ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে।

এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহেই সোনার দাম নতুন রেকর্ড গড়ছে। মূলত এ কারণেই বাংলাদেশ, ভারতসহ সব দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ছে।

এর বাইরেও নানান কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। তার মধ্যে আছে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির চাপ ও তার জেরে শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুরক্ষিত বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে অনেকে সোনার দিকে ঝুঁকছেন। শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করেও অনেকে স্বর্ণ কিনছেন।

রয়েছে অবাক করা আরেকটি তথ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি স্বর্ণ কিনেছে। এটিও দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।

বাজার বিশ্লেষকদের ভাষ্য, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান বাজার কৌশলবিদ জো কাভাতোনি বলেছেন, চলমান ভূ-অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ অর্থ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শঙ্কিত। সেই সঙ্গে ট্রাম্প যেভাবে শুল্ক আরোপ করছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর পাল্টা হিসেবে অন্যান্য দেশও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে। ফলে ওই সব দেশেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। এসব কারণে মানুষ স্বর্ণের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

এদিকে আমাদের দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটি নিয়মিতই স্বর্ণের হালনাগাদ দাম প্রকাশ করে থাকে।

বাজুস চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) মোট ১৭ বার স্বর্ণের দাম পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার। আর কমানো হয়েছে মাত্র ৩ বার।

এর মধ্যে বছরের শুরুতে ১৫ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তখন ভরিপ্রতি (২২ ক্যারেট) দাম হয় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কথা জানায় বাজুস। এই দফায় দাম বাড়ার পরে স্বর্ণের দাম হয়েছে ভরিপ্রতি (২২ ক্যারেট) ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। দেশের বাজারে এটিই এখন পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ বা রেকর্ড দাম। 

এ ছাড়া বর্তমানে ২১ ক্যারেট মানের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের স্বর্ণ ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা।

আরবি/এসএমএ

Link copied!