জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর রিটার্ন অডিটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
‘আয়কর রিটার্ন অডিট নির্দেশনা, ২০২৫’ শিরোনামের গাইডলাইনে রিটার্ন যাচাই-বাছাই, অডিট পরিচালনা, প্রতিবেদন প্রস্তুতি এবং নিষ্পত্তির প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য হলো কর ফাঁকি প্রতিরোধ, কর সংস্কৃতি উন্নয়ন এবং কর আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘আয়কর আইন, ২০২৩’ এর ১৮০ ও ১৮২ ধারার আলোকে রিটার্নে কোনো অসংগতি বা ঝুঁকি চিহ্নিত হলে অডিটের আওতায় আনা হবে।
রিটার্ন নির্বাচন পদ্ধতি
- ঝুঁকিভিত্তিক অটোমেটেড সিস্টেম ব্যবহার করে রিটার্ন বাছাই করা হবে।
- কাগজে দাখিল করা রিটার্নের জন্য র্যান্ডম বাছাই প্রযোজ্য।
- ইতিমধ্যে প্রসেসকৃত বা নতুন করদাতার প্রথম রিটার্ন অডিটের আওতায় আনা হবে না, যদি না স্পষ্ট রাজস্ব ক্ষতি দেখা যায়।
- একই করদাতাকে তিন বছর ধারাবাহিক অডিট করা হবে না।
- লোকসান বা অস্বাভাবিকভাবে কম আয় দেখা গেলে রিটার্ন অডিটের আওতায় আসবে।
অডিট ধাপ
- রিটার্ন নির্বাচনের পর করদাতাকে ৩০ দিনের নোটিশ দেওয়া হবে।
- ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হলে অডিট বাতিল, না হলে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত ও প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে।
- করদাতা চাইলে সংশোধিত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতাদের জন্য বিশেষ নজরদারি
ব্যক্তি করদাতা: বেতন, ব্যাংক জমা, ভাড়া, কৃষি আয়, রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংগতি যাচাই।
কোম্পানি করদাতা: নিরীক্ষিত হিসাব জমা বাধ্যতামূলক, টার্নওভার, ব্যাংক জমা, খরচের যৌক্তিকতা, উৎসে কর কাটা, নতুন ঋণ ও দেনা প্রদর্শনসহ আয়কর আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার পালন নিশ্চিত।
এনবিআর জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা কার্যকর হলে অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে, রাজস্ব আয় বাড়বে এবং করদাতাদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।