ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

ইউএস-বাংলাকে ক্ষতিপূরণের খবর ‘ভিত্তিহীন’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম

২০১৮ সালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছে নেপালের একটি আদালত। তবে ওই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার পর ঢাকা-ভিত্তিক এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কারণ বিমান সংস্থাটি এখনও এই আদেশ সম্পর্কিত কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য বা নথি পায়নি।

গত ২২ জুলাই দ্য কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কাঠমান্ডু জেলা আদালত সেদিন একটি রায় জারি করে ঢাকা-ভিত্তিক বিমান সংস্থাটিকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ফ্লাইট ২১১ দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবারকে ২ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৫১ জন প্রাণ হারান।

তবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দাবি করেছে, এ ধরনের কোনো আদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের জানানো হয়নি।

শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘সম্প্রতি নেপালের কোনো আদালত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে কোনো রায় দেয়নি। কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

কয়েক ঘণ্টা পর আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা জানায়, ‘আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য বা আদালতের আদেশ পাইনি। যদি এমন কোনো রায় থেকে থাকে, আমাদের আইনি দল তা পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যথাসময়ে গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় গণমাধ্যমকে যাচাইকৃত আদালতের নথি ছাড়া আন্তর্জাতিক সংবাদ উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন না করার আহ্বান জানায়।

২০১৮ সালের ১২ মার্চ ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা ফ্লাইট ২১১ ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২২ জন নেপালি, ২৮ জন বাংলাদেশি এবং একজন চীনা নাগরিক ছিলেন। এটি বাংলাদেশি বেসরকারি বিমান সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা এবং বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের সবচেয়ে বড় প্রাণহানি ঘটানো ঘটনা হিসেবে নথিভুক্ত।