রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটার বিপক্ষে সকল শিক্ষার্থীকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাল কার্ড প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত চৌধুরী।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিলে এ আহ্বান জানান তিনি। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরে সমবেত হয়।
সমবেত শিক্ষার্থীরা, `কোটা না মেধা? মেধা মেধা` `সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে `, `জনে জনে খবর দে পোষ্য কোটার কবর দে`, `সাকিব আঞ্জুম মুগ্ধ`, `জোহা স্যারের স্মরণে ভয় করিনা মরনে` `আপোষ না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব,`` তুমি কে? আমি কে? মেধাবী মেধাবী, `ছাত্রসমাজের একশান ডাইরেক্ট একশান,` ` মেধাবীদের কান্না আর না আর না, `ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটি মিমাংসিত ইস্যু। নতুন করে সেই পতিত কোটাকে যারা আবার জীবন দিতে চাচ্ছে তাদেরকে আমরা লাল কার্ড দেখিয়ে দিচ্ছি। হাসিনা যেভাবে পালাতে বাধ্য হয়েছে পোষ্য কোটাধারীদেরকেও আমরা বাংলার জমিন থেকে উৎখাত করে ছাড়বো। পোষ্য কোটা সুবিধা বঞ্চিতদের দেওয়ার মতো কিছু না, এটা সরাসরি তেলা মাথায় তেল দেওয়ার একটা আয়োজন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঠিক করার যে আয়োজন হাতে নিয়েছি সেখানে পোষ্য কোটা নামের কোনো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না। এখানে আপনাকে শিক্ষক হতে হলে মেধার পরিচয় দিয়ে আসতে হবে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, `আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের কথা বলি নাই, আমরা সকল ধরনের কোটার যৌক্তিক সমাধানের কথা বলেছি। জুলাই বিপ্লব হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো জুলাই বিপ্লবের ম্যান্ডেট ধারণ করে না। বিগত বছরগুলোর মতো স্বেচ্ছাচারিতা আর চলতে দেওয়া হবে না। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হবে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই শেষ হবে।`
এসময় পোষ্য কোটার যোক্তিকতা দেখিয়ে আজ সোমবার মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের বিতর্কে আসার আহবান করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনেও বসেন ৭ শিক্ষার্থী। এরপর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে সভাপতি করে ২০ সদস্যের এ কোটা পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়। তবে এ কমিটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে করেও কার্যকরী সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়ার পরও প্রশাসন সিদ্ধান্তে না আসার প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :