শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম

ঈদ শেষে স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৫, ০২:২৩ পিএম

রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন মানুষ।      ছবি- সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। ছবি- সংগৃহীত

গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে স্বস্তিতে রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। তবে মহাসড়কে যানজট না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি এবং অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

আজ সকাল থেকে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী এলাকা ঘুরে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের পর আজই ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা বাসগুলো পূর্ণ যাত্রী নিয়ে রাজধানীতে পৌঁছাচ্ছে। যাত্রীরা নেমেই সিএনজি, রাইডশেয়ারিং অথবা গণপরিবহন ব্যবহার করে নিজ নিজ গন্তব্যে সহজেই পৌঁছাতে পারছেন।

যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা এখন লাগেজ, ব্যাগ, বস্তা বহনকারী গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের আনাগোনায় মুখর। অনেককেই গ্রামে কোরবানি দেওয়া গোশত বহন করতেও দেখা গেছে।

বাসচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় যানজট না থাকায় ভ্রমণ সময় কম লেগেছে এবং ক্লান্তি ছিল তুলনামূলক কম।

রাজধানীর গাবতলীর একজন বাস শ্রমিক বলেন, ঈদের ছুটির পর রাজধানী এখনো তুলনামূলক ফাঁকা। ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকলেও রাস্তার অবস্থা ভালো থাকায় কোথাও বড় ধরনের জট বা বিশৃঙ্খলা হয়নি।

সায়েদাবাদ টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে। বাসস্ট্যান্ডজুড়ে যাত্রীদের আসা-যাওয়া থাকলেও তারা স্বস্তিতেই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

কয়েকজন যাত্রী জানান, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার ঈদের পরের দিনগুলোতে ফেরার অভিজ্ঞতা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।

যাত্রাবাড়ীতে দায়িত্ব পালন করা একজন পুলিশ সার্জেন্ট বলেন, সকাল থেকে এখানে দায়িত্ব পালন করছি। ঈদ শেষ করে আজ থেকে মানুষ ঢাকায় আসা শুরু করেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

শরীয়তপুর থেকে পদ্মা ট্রাভেলসে এসেছেন আকলিমা নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, আমি সকালে শরীয়তপুর থেকে বাসে উঠেছি, মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছি। রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি।

কুমিল্লা থেকে আসা তিশা বাসের যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে কোনো যানজট না থাকায় অনেক কম সময়ে ঢাকা এসে পৌঁছে গেছি। অনেক স্বস্তিতে ঢাকায় পৌঁছতে পেরে তিনি অনেক আনন্দিত।

ঈদের পর আজই ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামীকাল এবং পরদিনও যাত্রীর চাপ একটু বেশি থাকবে বলে পরিবার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও একই চিত্র দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরিশাল, পটুয়াখালী, রাজবাড়ী, ভোলা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর থেকে অনেক যাত্রী লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরছেন। চাঁদপুর থেকেও অনেক যাত্রী ঈদের ছুটি শেষ করে লঞ্চে সদরঘাট হয়ে ঢাকা ফিরছেন।

বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি ট্রেনেও অনেকে ঢাকায় ফিরছেন। ঢাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকামুখি যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় ট্রেনে ঈদযাত্রা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই শক্তিদায়ক ছিল।

গত শনিবার সারা দেশে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এবার সরকারি কর্মচারীরা টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন। গত ৫ জুন শুরু হওয়া ঈদের ছুটি আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!