চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা রোধে খাল ও ড্রেন পরিষ্কারসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অচলাবস্থার কারণে এ বছর কার্যত কিছুই হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে জমছে পানি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরুতে রাজধানীতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলতে পারে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সব উন্নয়নকাজ গত দুই মাস ধরে বন্ধ। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ দেওয়ার দাবিতে সেখানে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আর উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে কর্মকর্তাদের দূরত্বে জটিলতা আরও বেড়েছে।
দুই সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ স্থবির থাকায় উন্মুক্ত ড্রেনগুলো এবার পরিষ্কার করা হয়নি। অথচ ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে রাজধানীতে। বেশির ভাগ খাল, উন্মুক্ত ড্রেন, পাইপ ড্রেন ও বক্স কালভার্ট এখনো আবর্জনায় পূর্ণ। নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নায়েম থেকে পিলখানা পর্যন্ত একটি বড় পাইপ ড্রেন করার কাজও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, খাল-ড্রেন উন্নয়ন ও নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ছাড়া জলাবদ্ধতা কমবে না। কিন্তু দুই সিটি এখনো প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ বা বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করতে পারেনি। পানি নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক সচল না থাকলে বড় ধরনের দুর্ভোগের মুখে পড়বে রাজধানীবাসী।
ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হাসান আল মাসুদ বলেন, যতদিন খালগুলো ঠিক না হবে, ততদিন বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হবেই। সম্প্রতি কয়েকটি ভারী বর্ষণেও রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হয়েছে। যেসব স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে, সেটা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।