রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)-কে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনের দুটি পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ অভিযানে, শুক্রবার রাত ১টার দিকে কোতোয়ালী থানার জিন্দাবাহার এলাকা থেকে মো. টিটন গাজী (৩৩)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ডিএমপি তিনজন এবং র্যাব দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিএমপির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে মহিন, রবিন ও টিটন গাজী, আর র্যাব গ্রেপ্তার করেছে আলমগীর (২৮) ও মনির (৩২)।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের গেটের সামনে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে দুই যুবদল নেতার জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি তাদের বহিষ্কার করেছে বলে জানা গেছে।