রাজধানীর সূত্রাপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তামিম (২২)।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হলো। এর আগে সোমবার রাতে মারা যায় তামিমের ছোট বোন আয়েশা (১) এবং মঙ্গলবার রাতে তার ভাই রোকন (১৪) মারা যায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, তামিমের শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।
ডা. শাওন আরও বলেন, আহতদের মধ্যে শিশু আয়েশার শরীরের ৬৩ শতাংশ এবং রোকনের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বর্তমানে তামিমের বাবা মো. রিপন (৩৫) ও মা চাঁদনী (২৮) চিকিৎসাধীন। রিপনের ৬০ শতাংশ এবং চাঁদনীর ৪৫ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পরিবারের আত্মীয় জাকির হোসেন জানান, রিপন পেশায় একজন ভ্যানচালক। গত শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সূত্রাপুরের বাসায় পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে প্রতিবেশীদের। পরে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, গ্যাস লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। আমার ভাগ্নের তিন সন্তান ইতোমধ্যে মারা গেছে। ভাগ্নে ও তার স্ত্রীও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। পরিবারটা একেবারে শেষ হয়ে গেল।’
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।