ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

এক ঘণ্টা পর উদ্ধার, তখনও বেঁচে ছিল তৌকির

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
পাইলট তৌকির ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তার দেহে প্রাণ ছিল।

ঘটনাস্থলে প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়েন এবং গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ আগুন ও শিক্ষার্থীদের উদ্ধার কার্যক্রমে সবাই ব্যস্ত থাকায় তার অবস্থা কারো নজরে আসেনি।

পাইলটকে উদ্ধারকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটির বিস্তারিত জানিয়েছেন।

মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের জ্যেষ্ঠ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মকবুল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সবাই আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে দৌড়ে যান। ওই সময় সেনা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। চারপাশে কান্না ও হাহাকার চলছে।’

প্রায় এক ঘণ্টা পর জুনিয়র মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাহেদা একটি ঝাউগাছে ঝুলন্ত প্যারাস্যুট দেখতে পান এবং বিষয়টি মকবুল হোসেনকে জানান। মকবুল সেখানে গিয়ে দেখতে পান, প্যারাস্যুটের ঠিক সামনে কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের টিনের চাল ভেঙে পড়ে আছেন পাইলট তৌকির ইসলাম। তখনো তিনি বিমানের ইজেকশন সিটে আটকা অবস্থায় ছিলেন।

মকবুল বলেন, ‘পাইলট তখনো অচেতন অবস্থায় সিটে আটকা ছিলেন। ডানদিকে কাত হয়ে ছিলেন। আমরা তাকে উদ্ধার করি এবং সেনাসদস্যদের সহায়তায় মেডিকেল কক্ষে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করি।’

তিনি আরও জানান, ‘পাইলটের পাল্স (নাড়ির গতি) পাওয়া গেছে, মুখে সামান্য রক্ত ছিল, কিন্তু বাইরে থেকে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। রক্তচাপ ছিল ১০০/৬০, যা থেকে বোঝা যাচ্ছিল তিনি তখনো বেঁচে আছেন। এরপর তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’