বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল আজ অর্ধ যুগ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরাসরি ভোটগ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসকরা তাদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিজন কান্তি সরকার জানান, নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ড্যাবের পাঁচটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৩১ জন।
হারুন-শাকিল প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব পদে ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ডা. আবুল কেনান, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. মো. মেহেদী হাসান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে ডা. এ কে এম খালেকুজ্জামান দিপু।
অন্যদিকে, আজিজ-শাকুর প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, মহাসচিব পদে ডা. আব্দুস শাকুর খান, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ডা. সাইফ উদ্দিন নিসার আহমেদ তুষার, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. তৌহিদ উল ইসলাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে ডা. আবু মো. আহসান ফিরোজ। এ ছাড়া সভাপতি পদে ডা. ওবায়দুল কবির স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন।
২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ড্যাবের সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, আর ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন ডা. আজিজুল হক।
ভোট নিয়ে অধ্যাপক হারুন আল রশিদ বলেন, ‘আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিগত সময়ে আমরাই মাঠে ছিলাম, আমাদের জয় নিশ্চিত।’ অন্যদিকে অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমরা ভালো ফল করব।’
গত ২৪ জানুয়ারি ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে বিএনপি, এর আগে ২০২৪ সালের ২৫ মে পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছিল।
নির্বাচন উপলক্ষে হারুন-শাকিল প্যানেল গত ৮ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদের নির্বাচনি ইশতেহার ও কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, প্যানেলটি গত ১৭ বছর ধরে চিকিৎসকদের পেশাগত উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক কাজে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আমরা সর্বদা পাশে ছিলাম এবং রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ডা. হারুন আল রশিদ স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা কাউকে সদস্যপদ থেকে বাদ দিইনি। সদস্যপদ বাতিল যারা হয়েছে তারা ছিল ফ্যাসিবাদের সহযোগী।’
উল্লেখ্য, ভোটার তালিকা সর্বদা শতভাগ নির্ভুল হয় না। ড্যাবের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হবে, যেখানে যারা দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন তাদের নেতৃত্ব থাকবে।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. এম এ সেলিম, সহসভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. সাঈদ মেহবুব উল কাদিরসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :