রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের মাদারীপুর টিনের মসজিদ ঘাট এলাকা থেকে এক নারী (৩০) ও এক পুরুষের (৩৫) হাত বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায়। নৌ পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এর আগে, দুপুরে মীরেরবাগ এলাকা থেকে সদরঘাট পুলিশ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতদের একজন নারী, অন্যজন শিশু। একদিনে চারজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বরিশুর নৌ পুলিশের এসআই মুক্তার হোসেন জানান, স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করি। মরদেহ যাতে ভেসে না ওঠে, সেজন্য ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার সঙ্গে হাত বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
মরদেহগুলো সম্পূর্ণ পচে গলে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীতে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে নারী ও শিশুসহ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তারা মা-ছেলে। নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর এবং শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর।
উদ্ধারকৃত নারীর পরনে ছিল সালোয়ার-কামিজ। গলায় বোরকার হাতা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। শিশুটির গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যা করে তাদের নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন