ঝিনাইদহে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বছরের পর বছর চলছে ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের সময় কাটে আতঙ্কে। ফলে অনেকাংশেই ব্যহত হচ্ছে নিয়মিত নাগরিক সেবা। নির্বিঘ্নে নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বার বার আবেদন করা হলেও কোনো কাজ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে সর্বমোট মোট ৬৭ টি। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১৭টি, কালীঞ্জে ১১টি, কোটচাঁদপুরে ৫টি, মহেশপুরে ১২টি, শৈলকুপায় ১৪টি ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
হরিনাকুন্ড উপজেলার ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভবনটি প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনের দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, দেয়াল ও ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। এসব কারণে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভবনটি।
একই অবস্থা জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা, শৈলকুপা উপজেলার মনোরহরপুর ও সারুটিয়া এবং মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ও নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদের। এসব ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবার পাশাপাশি চলে ভূমি অফিসের কার্যক্রম। ফলে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেবা গ্রহীতারদের দুর্ভোগের সীমা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কাজ করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও থাকেন আতঙ্কের মধ্যে।
জনপ্রতিনিধিদের জন্যও নেই বসার উপযুক্ত স্থান। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ছয় ইউনিয়নে প্রতিদিন গড়ে ১৮০০ থেকে ২ হাজার মানুষ সেবা নিতে আসে।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।
মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা রতন মন্ডল বলেন, খুঁটিনাটি বিভিন্ন কাজে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। কিন্তু ভবনটির ভগ্নদশা দেখে মনে হয় যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এখানে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও প্রয়োজনে আসতে হয়। এই কার্যালয়ে সেবা নিতে এলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। তাই সেবা নেওয়ার সময় হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি। সেবা নেওয়ার জন্য ডাক পড়লেই কেবল ভেতরে যাই।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সেবা দিতে বিড়ম্বনার বিষয়ে হরিনাকুন্ড উপজেলার ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা তুষার দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, জরাজীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অনেক কষ্ট করে নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সব সময় সেবা প্রত্যাশীদের ভিড় লেগেই থাকে। বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই কার্যক্রম চালাতে হয়। পরিষদে বসার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। একটি গোডাউন এবং সামনের ফাঁকা জায়গায় চলছে কার্যক্রম। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, জেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আপাতত কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 
                             
                                    
-20250413085355.webp)

-20250413094930.webp)
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251030233957.webp) 
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন