গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের ওপর গুলি চালানো বাপ্পি রাজধানীর পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী নাঈম আহমেদ টিটনের ক্যাডার। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের আলোচিত এই টিটনের অনুপন্থিতিতে টিটন বাহিনীর হাল ধরতেন বাপ্পি। ধানমন্ডি, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর ও তেজগাঁও এলাকায় রয়েছে টিটন বাহিনীর সাম্রাজ্য। বাপ্পিসহ অসংখ্য ভয়ঙ্কর ক্যাডার রয়েছে টিটন বাহিনীতে। যশোরের কারবালা রোডে টিটনের গ্রামের বাড়ি হলেও থাকতেন মোহাম্মাদপুরের রায়ের বাজারস্থ ২৩৩/১, সুলতানগঞ্জে। বাপ্পির মত অসংখ্য সাহসী ক্যাডার রয়েছে টিটনের দলে।
পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত শুক্রবার রাতে পুলিশ যশোরের ঘোপ নওয়াপাড়া থেকে ঢাকার সন্ত্রাসী বাপ্পি ওরফে মো. আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হককে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
কাশিমপুর কারাগারে একই কক্ষে থাকতেন এই দুই সন্ত্রাসী টিটন ও বাপ্পি। এই কারাগারেই তাদের পরিচয়। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দুজনই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যোগ দেয়। অস্ত্রের ব্যবসাও করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ফকিরাপুলে ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পর দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পি ওরফে মো. আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হক। অনেক নামের অধিকারী বাপ্পি যশোর সীমান্ত দিয়ে পালাতে গিয়ে আশ্রয় নেন ঘোপ নওয়াপাড়ার এক সহযোগীর শ্বশুরবাড়িতে। ডিবি পুলিশ সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ওই বাসা ঘিরে ফেলে।
আরও জানা যায়, ডিবির জালে ধরা পড়ার শঙ্কায় বাপ্পি অভিনব কৌশল নেন। বাসার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দিয়ে পুলিশকে জিম্মি করার চেষ্টা করেন। হুমকি দেন, যদি তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হলে, তিনি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটাবেন। এতে বাসার শিশু ও নারীদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি দল।
জানা গেছে, বাপ্পির আটকের দিন যশোরেই অবস্থান করছিলো শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটন। ডিবি পুলিশের অভিযান টের পেয়ে সে সটকে পড়ে। পুরষ্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটনকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।