জুলাই আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও মাদক সম্রাজ্ঞী স্বপ্না আক্তারকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। সোমবার (১ সেপ্টেম্বের) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকার ৫৯৭ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, স্বপ্নাকে গুলশান থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান। তিনি গুলশান থানার একটি জুলাই হত্যা মামলার ৬২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি (মামলা নম্বর-২৮)।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, স্বপ্না আক্তার ক্যান্টনমেন্ট থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক কারবার, জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় তিনি মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে বহুল পরিচিত। আওয়ামী লীগ আমলে অবৈধ পথে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরও থানা পুলিশ ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন স্বপ্না।
পুলিশ সূত্র জানায়, গুলশান থানা ছাড়াও মিরপুর মডেল থানায় (মামলা নং- ৪৫/৪৫, পল্লবী থানায় (মামলা নং- ১৪৬), পল্টন থানায় (মামলা নং-৭০৪), উত্তরা পশ্চিম থানা (মামলা নং-৮৬০), ক্যান্টনমেন্ট থানা (মামলা নং- ৩) ও ক্যান্টনমেন্ট থানায় (মামলা নং- ৬) স্বপ্নার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া কুমিল্লার দেবিদ্বারের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ঘনিষ্ট বান্ধবী হিসেবে পরিচিত এই স্বপ্না আক্তার। রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় ফখরুলের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ফখরুলের মালিকানাধীন জায়গায় একটি হোটেলও বানিয়েছেন স্বপ্না।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ বছরে ফখরুলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে লেডি ডন হয়ে ওঠেন স্বপ্না আক্তার। জমি দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে মাটিকাটা এলাকায় স্বপ্নার আছে নিজস্ব অস্ত্রধারী গ্যাং।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন