আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী ফিরোজ মাহমুদ-এর একক শিল্প প্রদর্শনী ‘মাল্টি-লেয়ার্ড লিগ্যাসিস’ আয়োজন করেছে জাপান দূতাবাস। প্রদর্শনীটি দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ প্রদর্শনীতে শিল্পানুরাগী, কূটনীতিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গকে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি। তিনি মাহমুদের নান্দনিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে বৈশ্বিক ভাবনা উপস্থাপনের অসাধারণ প্রতিভার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রদর্শনীটি পেপার রাইম অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে। একইসঙ্গে এটি এজেন্সির ২০তম বার্ষিকীর উদযাপন, যা শিল্পের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং শিল্পীর বৈশ্বিক শিল্পযাত্রার পৃষ্ঠপোষকতার এক সুস্পষ্ট প্রতিফলন। দর্শনার্থীরা এ প্রদর্শনীতে ফিরোজ মাহমুদের শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সমসাময়িক সংস্কৃতি নিয়ে তার সৃজনশীল ভাবনার পরিচয় পান।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক শিল্পী ফিরোজ মাহমুদ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলোতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণের জন্য সুপরিচিত। তার অংশগ্রহণের উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনীগুলো হলো: ব্যাংকক আর্ট বিয়েনালে, কঙ্গো বিয়েনালে, লাহোর বিয়েনাল, ঢাকা আর্ট সামিট, সেতোউচি ট্রিয়েনালে (বিডিপি), আইচি ট্রিয়েনাল, শারজাহ বিয়েনালে, কায়রো বিয়েনালে, এচিগো-ৎসুমারি ট্রিয়েনাল এবং এশিয়ান বিয়েনালে।
কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: এশিয়ান আর্ট কাউন্সিল (নিউইয়র্ক), কোল প্রাইজ (প্যারিস, মনোনয়ন), কুইন্স কাউন্সিল অন দ্য আর্টস (নিউইয়র্ক), হিরোশিমা সিটি মিউজিয়াম অব কনটেম্পোরারি আর্ট (ওটি প্রাইজ) এবং সভরেন এশিয়ান আর্ট প্রাইজ (হংকং)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে দিলনাশীন খানম স্বর্ণপদক এবং শিল্পাচার্য জয়নুল স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি কানাডার এলিজাবেথ গ্রিনশিল্ডস ফাউন্ডেশন গ্রান্টস পেয়েছেন।
মাহমুদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে। এরপর তিনি তামা আর্ট ইউনিভার্সিটি এবং টোকিও ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস-এ পড়াশোনা করেন। সেখানেই তিনি পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি আমস্টারডামের রিজক্সাকাডেমি ভ্যান বিলডেন্ডে কুন্সটেন-এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলার হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও, তিনি বিশ্বখ্যাত জাপানি শিল্পী ইয়াই কুসামা-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। বর্তমানে টোকিও, সাংহাই ও সিঙ্গাপুরের ওটা ফাইন আর্টস আন্তর্জাতিকভাবে তার শিল্পকর্মের প্রতিনিধিত্ব করছে।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পেপার রাইম অ্যাডভার্টাইজিং শিল্পীর শিল্পকর্ম সংগ্রহ করছে, তার ক্রিয়েটিভ প্রজেক্টগুলোতে সহায়তা করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীগুলোতে অংশীদারিত্ব করছে। জাপান দূতাবাসে এই প্রদর্শনীটি তাদের দীর্ঘমেয়াদি সৃজনশীল সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন