ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানাতে সপ্তম বারের মতো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সামাজিক সেবা সংস্থা বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ)। প্যারিসের রুই তিয়েরে কুরির একটি অভিজাত তারকা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রেঞ্চ কারিকুলামে অধ্যয়নরত মোট ৩০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাক পরীক্ষায় ১০ জন, বিটিএসে একজন, অনার্সে দুজন, মাস্টার্সে ১৫ জন এবং একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক এবারের সংবর্ধনার জন্য মনোনীত হন। অনুষ্ঠানের সমন্বিত সঞ্চালনা করেন বিসিএফ ভাইস প্রেসিডেন্ট জহিরুল রানা, ফাতেমা তুজ জোহরা, তানিয়া রহমান ও ফারসিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান মোল্লা (এনডিসি, পিএসসি), দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম, মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় সচিব কে এফ এম শারহাদ শাকিলসহ ফ্রান্সের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব।
ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহাকে অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে এমসি ইনস্টিটিউট, নারী সংগঠন ‘উইথ দ্য মাইন্ড’, নুপুর হক, বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যান্ড অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইন বেলজিয়াম, খালেদ মাহমুদ ও নাট্যকর্মী মোজাম্মেল হোসেন শোয়েবকেও বিশেষভাবে সংবর্ধিত করা হয়।
বিসিএফ রিইউনিয়ন উপলক্ষে সাংবাদিক মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল সম্পাদিত বিশেষ স্মারক ‘সহযাত্রী’র মোড়ক উন্মোচন করেন ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এফবিজেএ) সমন্বয়ক মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন, মুখপাত্র মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ ও ফ্রান্স-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সভাপতি ফেরদৌস করিম আখঞ্জি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আবুল কালাম মামুন, ইকবাল জাফর, রাসেল আহমেদ, বাদল পাল, মাসুদ আহমেদ, সাইফুল ইসলাম রনি, আবু বকর আল আমিন, রেজাউল ইসলাম রাজুসহ অনেকে।
বাংলাদেশের সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় ভূমিকা রাখা ফরাসি এনজিও CFF–GK Savar-এর ফরাসি প্রতিনিধিদলকে মানবিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রদূত, দূতাবাস কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা বিভিন্ন পর্যায়ে উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
আরশী বড়ুয়ার বায়োলিন পরিবেশনায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মোটিভেশনাল বক্তব্য দেন আশরাফ, ইশতিয়াক আকিব ও ডা. ঐশী খান।
বিসিএফের পরিচালক এমডি নুর তার স্বাগত বক্তব্যে কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে আরও ব্যাপক সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নজমূল কবিরও বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত এম তালহা বলেন, ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, যা দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক। তারা মেধাবীদের আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন সোমা দাস। জিএম শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় ছিল নৃত্য পরিবেশনা, আর Mme Audrey–র তত্ত্বাবধানে বিশেষ পরিবেশনা উপস্থাপন করে একটি ফরাসি নৃত্যদল।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন